এটা কি তাদের বাবার রাস্তা?

সাধারণের চলাচলের রাস্তা থেকে বিভিন্ন বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থার ‘নো পার্কিং’লেখা চিহ্নসমূহ সরিয়ে নিতে বললেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। না হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

মেয়র বলেন, ‘সেদিন দেখি জি-৪ নামে একটি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আমাদের রাস্তার উপর তাদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। লিখে দিয়েছে ‘নো পার্কিং’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটোরিয়ামে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র আনিসুল।আনিসুল হক বলেন, ‘ঢাকা শহরের পাবলিকের রাস্তার ওপরে কোনো নো পার্কিং দেখতে চাই না। জাস্ট ওয়ান উইক টাইম। সাধারণ মানুষের রাস্তা, সাধারণ মানুষেরই থাকবে।’

মেয়র বলেন, একটি সুন্দর নগর তৈরি করার স্বপ্ন নিয়ে মেয়র হয়েছি। অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে মেয়রকে কাজ করতে হচ্ছে। তিন মাস আগেও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনের ফুটপাত দিয়ে কেউ চলতে পারত না। এখন সেসব ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ মাথা উঁচু করে হাঁটতে পারছে। গরিব হকারদের ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষমতাবান কোটিপতিদের দখল থেকেও ফুটপাত মুক্ত করেছি। এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আর গুণগত মানের বিষয়ে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’নিয়ে কাজ করছি। ফলে কদিন পরেই গুলশান এভিনিউ বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের এভিনিউয়ের সমপর্যায়ে উন্নীত হবে।

সম্প্রতি গুলশান এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনের ফুটপাত অবৈধভাবে দখলের বিরুদ্ধেও অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। অভিযানের পর এসব ফুটপাত জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়।

মেয়র বলেন, ‘সৌদি দূতাবাসে গিয়ে দেখি সমস্ত রাস্তায় ওনারা নো পার্কিং, নো পার্কিং দিয়ে রেখেছেন। তাদের দেশের রাস্তায় কি এভাবে থাকতে দেবে? তাদের দেশের রাস্তায় কি তাদের নাগরিককে আটকানো যাবে? আমার দেশে অন্য দেশের দূতাবাস সাধারণ মানুষের রাস্তা দখল করেছ। এটা হতে দেব না। আমরা সাধারণ মানুষের রাস্তা উদ্ধার করবোই।’

সূত্র: http://www.notunshomoy.com/details.php?id=25166

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here